ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে সাড়ে ৬৫ কোটি টাকা আত্মসাত: দুদকের অনুসন্ধান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৩, ২ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ২২:১৮, ২ ডিসেম্বর ২০২০
পুঁজিবাজারে সাড়ে ৬৫ কোটি টাকা আত্মসাত: দুদকের অনুসন্ধান

ফাইল ছবি

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রায় সাড়ে ৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডিসহ ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এরই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথি-পত্র তলব করেছে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক। দুদকের জনসংযোগে দপ্তর বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬৫ কোটি ৩২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চলতি বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে অনুসন্ধানে নামে সংস্থাটি। দুদক উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিককে অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেয় কমিশন। এরই মধ্যে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিভিন্ন ব্যাংক ও দপ্তর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বেশকিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছে অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

প্রায় ২১ হাজার বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে নেওয়া শত কোটি টাকা ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। এর মধ্যে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডর চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ এবং এমডি তার স্ত্রী নিপা সুলতানা নূপুরকে গত ৬ জুলাই গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন বলেন, ‘ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত ব্রোকারেজ হাউস। এখানে বিনিয়োগ করা ১৮ কোটি টাকা শহিদুল্লাহ-নূপুর দম্পতি অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেন। আরও ৩০ কোটি টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে নিজেদের কাছে রাখেন।’ 

পরে গ্রাহকদের অভিযোগে আত্মগোপনে থাকা এ দম্পতিকে সোমবার নোয়াখালীর মাইজদী থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীরা মোট পাঁচটি মামলা করেছেন। 

ব্রোকারেজ হাউজটির অধীনে প্রায় ২১ হাজারের মতো একাউন্ট রয়েছে, তাতে যে শেয়ার রয়েছে, তার বাজার মূল্য ৮২ কোটি টাকার মতো বলে ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। এরপর দুই বিনিয়োগকারী পল্টন থানায় দুটি মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ঢাকা/এম এ রহমান/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়