গৃহবধূকে ধর্ষণ: কাজী দুই দিনের রিমান্ডে

ঢাকার ধামরাইয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইউসুফ আলী নামের এক বিবাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

৩ ডিসেম্বর বিকেলে ধামরাই পৌরসভার চন্দ্রাইল থেকে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার এসআই মো. একেএম সাইদুজ্জামান আসামির ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তবে ওই দিন মামলার কেস ডকেট (সিডি) না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

আজ ইউসুফকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট সহিদুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। অহেতুক হয়রানির জন্য তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। ঘটনার দিন তিনি ওই স্থানে উপস্থিত ছিলেন না। তার রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন প্রার্থণা করছি।’

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রায় এক মাস আগে বিয়ের কাবিনে অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা করার কথা বলে ওই গৃহবধূকে কাজী অফিসে ডেকে নেন ইউসুফ আলী। ওই গৃহবধূ সেখানে গেলে কাগজ অফিসে নেই জানিয়ে তাকে পৌর এলাকায় নিজ ভাড়া বাসায় নিয়ে যান ইউসুফ। পরে তাকে ধর্ষণ করেন কাজী। ওই সময় বাসায় অন্য কেউ ছিলেন না। এ ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ইউসুফ আলী (৪৫) ধামরাই পৌর এলাকার নতুন দক্ষিণ পাড়া মহল্লার আমির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার হাঁপানিয়া গ্রামের মৃত লাল মাহমুদের ছেলে।