ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সিনহা হত‌্যা: ১৩০ দিনে তদন্ত সম্পন্ন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১০, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০  
সিনহা হত‌্যা: ১৩০ দিনে তদন্ত সম্পন্ন

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত ১৩০ দিনে শেষ হয়েছে। তদন্তে হত‌্যাকাণ্ডের পেছনের কারণসহ আদ‌্যোপান্ত বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করেছেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ‌্যম বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ‌্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আদালতের আদেশের পর পুলিশের দক্ষ, অভিজ্ঞ, নির্ভীক এবং সৎ অফিসার এএসপি খায়রুল ইসলামকে দিয়ে মামলাটির তদন্ত করা হয়। তদন্তে সাক্ষ্য-প্রমাণ, দোষীদের জবানবন্দি, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, রিমান্ডে ও আদালতে আসামিদের বক্তব্যে হত‌্যাকাণ্ডের সব তথ‌্য বেরিয়ে এসেছে। টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ইয়াবা বাণিজ‌্যের তথ‌্যও বেরিয়ে এসেছে।’

র‌্যাব জানায়, টেকনাফ থানা এলাকায় সাবেক ওসি প্রদীপের ছিল একক আধিপত্য। তিনি নিরীহ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজি ও ইয়াবা বাণিজ্য করতেন। তার এসব অপকর্মের কথা জেনে ফেলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। সোর্স মারফত এ বিষয়ে জানতে পেরে ওসি প্রদীপ মেজর সিনহাকে ওই এলাকা থেকে বিতাড়িত করতে চান এবং ভয়ঙ্কর পরিণতির হুমকি দেন। হত্যার পর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মাকে ফোন করে তার পরিচয় নিশ্চিত হন ওসি প্রদীপ।

উল্লেখ‌্য, ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার গাড়ি থামায় পুলিশ। সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ গাড়ি থেকে নামলে তাকে গুলি করেন ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত হোসেন। এ ঘটনায় দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। সরকার ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

পরে নিহতের বোন ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে কক্সবাজারের আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এ হত‌্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৫ জনের সংশ্লিষ্টতা পান তদন্ত কর্মকর্তা। ১৪ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। একজন এখনও পলাতক।

ঢাকা/মাকসুদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়