ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

মা-ছেলে হত্যা: রায়ের তারিখ ধার্য হতে পারে রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ৭ জানুয়ারি ২০২১  
মা-ছেলে হত্যা: রায়ের তারিখ ধার্য হতে পারে রোববার

শামসুন্নাহার করিম ও সাওন (ফাইল ফটো)

রাজধানীর কাকরাইলে শামসুন্নাহার করিম ও তার ছেলে সাওন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য হতে পারে আগামী রোববার (১০ জানুয়ারি)।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে আসামি আব্দুল করিমের পক্ষে তার আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এর আগে দুই আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।

এদিন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আইনের ভিত্তিতে আরও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে সময় চান।

শুনানি শেষে আদালত আগামী ১০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন বিচারক রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তিতর্ক শেষ করতে বলেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছি। এরপর আসামিপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করেছে। এখন আমরা ল পয়েন্টে কিছু কথা আদালতকে জানাব। আশা করছি, রোববারই তা শেষ হবে। ওই দিন আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করবেন।’

আসামিরা হলেন—শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিম, তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়ার গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আব্দুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন রাতে শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা আবদুল করিম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর ৩ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টায় গোপালগঞ্জ থেকে মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩।

৫ নভেম্বর জনির ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড চলাকালীন ৮ নভেম্বর জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে মুক্তাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আলী হোসেন। গত ৩১ জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

গত ১ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ১২ নভেম্বর তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। তিন আসামিই কারাগারে আছেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়