দীপন হত্যা: জিয়াসহ ৮ আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি

প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৮ আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে এ দাবি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে। এদিন সিদ্দিক সোহেলের পক্ষে তার আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। আদালত অপর আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন।

আসামিরা হলেন- মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।  আসামিদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছে।

গত ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ৫ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার পর ওইদিনই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান দাখিল করেন। গত বছর ১৩ অক্টোবর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।