ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কবর থেকে তোলা হয়েছে সৌদিতে নিহত কিশোরীর লাশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৩, ২৫ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ২২:৫১, ২৫ জানুয়ারি ২০২১
কবর থেকে তোলা হয়েছে সৌদিতে নিহত কিশোরীর লাশ

সৌদি আরবে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী নদী আক্তারের লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তুলেছে পুলিশ। নদীর পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে এ লাশ তোলা হয়েছে।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র সাহা রাইজিংবিডিকে জানান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এই থানার এসআই জাকির হোসেন খিলগাঁও কবরস্থান থেকে লাশ তুলেছেন। সেখানে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের লোকজনও আছেন। তারা আলামত সংগ্রহ করবেন।

জানা গেছে, গত বছরের ১৪ অক্টোবর সৌদি আরব থেকে দেশে আসে নদী আক্তারের লাশ। নদীর মা বিউটি বেগম রাজধানীর কলাবাগান থানায় হত্যা ও মানবপাচার আইনে মামলা করেন। মামলায় মেসার্স ঢাকা এক্সপোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ রহমান এবং একই প্রতিষ্ঠানের মো. আব্দুল মালেক, মাসুমসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নদীকে হত্যা করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। নদীর মায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম কবর থেকে লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

নদীর মা বিউটি বেগম মামলার এজাহারে বলেন, ‘২০১৯ সালের ৩ মার্চ আমি ও নদী মদিনার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাই। সেখানে বিমানবন্দরে নামার পর আমি বুঝতে পারি, আমাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আমি আগে সৌদি আরবের চুক্তি মোতাবেক মালিকের কাজ না করায় কালো তালিকাভুক্ত করা হয় বলে জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে দেশে ফিরে আসি। কিন্তু সেখানে থেকে যায় নদী। মাঝে আমি কয়েক মাসের জন্য ওমানে চলে যাই। সেখানে কাঙ্ক্ষিত বেতন না পাওয়ায় দেশে ফিরে আসি। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাকে নির্যাতনের পাশাপাশি হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হতো। ১৩ আগস্ট তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। যা নদী বিভিন্ন সময় ফোনে এবং ইমোতে দেখিয়েছে। একই সঙ্গে তাকে খাবার না দিয়ে দিনের পর দিন বাসায় কাজ করানো হতো। চালানো হতো অমানবিক নির্যাতন। নদী যেন যোগাযোগ করতে না পারে সেজন্য তার অনলাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়।’

সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেছেন, ‘দেখতে হবে নদীর কাফন-দাফন কীভাবে হয়েছে। কেননা, দীর্ঘদিন লাশ কবরে থাকলে আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে তার দেহে যদি কোনো গুলির চিহ্ন কিংবা হাড়ভাঙা থাকে, তাহলে ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আমরা সে চেষ্টাই করব।’

ঢাকা/মাকসুদ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়