ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্য
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এ সাক্ষ্য দেন তারা। সাক্ষীরা হলেন— নির্মাণ বিল্ডার্স ও ডেভেলপারের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. সোহেল এবং অতিরিক্ত কর কমিশনার নাদেরুজ্জামান। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটিতে এ নিয়ে চার্জশিটভুক্ত ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
গত বছরের ২০ অক্টোবর একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
ডিআইজি মিজান এবং মাহমুদুল হাসান কারাগারে আছেন। মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান ও মাহবুবুর রহমান পলাতক। গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গত ২ জুলাই আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামুন/রফিক
আরো পড়ুন