ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিচার না পেলে ছেলের কবর দেখতে যাবেন না সাগরের মা 

মামুন খান      || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১১:১৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বিচার না পেলে ছেলের কবর দেখতে যাবেন না সাগরের মা 

সাগরের মা সালেহা মনির

নয় বছরেও বিচার শেষ হয়নি সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার বিচার। 

সাগরের মা সালেহা মনিরের ইচ্ছা, ছেলের কবরের মাটি ছোঁয়ার। কিন্তু তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, বিচার শেষ না হওয়ার আগে ছেলের কবর দেখতে যাবেন না। 

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সন্তান হত্যার বিচার পেলাম না। কবরের পাশে গিয়ে কী বলবো, বিচার হচ্ছে না। তবে বিচার একদিন হবেই। আমার শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত আমি সাগর-রুনি হত্যার বিচার চেয়ে যাবো। দুনিয়ার বিচার না হলেও ওপরে যিনি আছেন তিনি অবশ্যই বিচার করবেন।’

সাগরের মা বলেন, ‘৯ বছর হয়ে গেলো এখনো সন্তান হত্যার বিচার পেলাম না। কেন তাদের খুন করা হলো সেটাও জানতে পারলাম না। আদৌ মামলার তদন্ত কি শেষ হবে? ইচ্ছাকৃতভাবে বা অদৃশ্য কোন কারণে না রাজনৈতিক কারণে মামলাটির তদন্ত শেষ হচ্ছে না। মামলার তারিখ আসে আর যায়। কোনো কাজ হয় না। আমরা চাই, উচ্চ আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শেষ করার জন‌্য র‌্যাবকে একটা সময় বেধে দিক। র‌্যাব যদি রহস্য উদঘাটন করতে না পারে তাহলে ব্যর্থতা স্বীকার করে মামলা ছেড়ে দিক। অন্য কোনো সংস্থা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করবে।’

অনেক আলোচিত মামলার বিচার শেষ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু সাগর-রুনি হত্যার বিচার হচ্ছে না। কেন মামলাটির বিচার শেষ হচ্ছে না? সাংবাদিক হত্যার বিচার হলো না। এটা কেমন কথা।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে অনেক কিছু হচ্ছে। মুজিববর্ষে সাগর-রুনি হত্যার সুরাহা করতে পারলে এটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ, তিনি যেন এ মামলাটির তদন্ত শেষ করে বিচার শেষের নির্দেশ দেন।’
সালেহা মনির বলেন, ‘এই নবাবপুরের লোহা-লক্করের মধ্যে আমি সোনা বের করে এনেছিলাম। আমার সেই সোনাকে কী অপরাধে নৃশংসভাবে খুন করা হলো?’

মামলায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এরা হতে পারে অন্য কোনো ক্ষেত্রে অপরাধী। কোনো চোর, ডাকাত তাদের খুন করেনি। এটা মিথ্যা অপবাদ। এখানে অনেক রহস্য আছে।’

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি। ঘটনার পরের দিন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়