সাফায়েতের জামিন নামঞ্জুর
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি সাফায়েত জামিলের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছিন আহসান চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সাফায়েত জামিলকে কারাগারে পাঠিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সাফায়েত জামিল। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ৯ ফেব্রুয়ারি এ আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাকে ১২ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন সাফায়েতের আইনজীবী তার জামিন আবেদন করে পরবর্তী সময়ে শুনানি করার প্রার্থনা করেন। আদালত রোববার শুনানির দিন ঠিক করেন।
আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম (লিটন) জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
মামলায় ৩১ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে মর্তুজা রায়হান চৌধুরী রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। নুহাত আলমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফারজানা জামান নেহার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে নেহাকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২৮ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত মদ পান করিয়ে ধর্ষণ করেন আসামি রায়হান। এ সময় অন্য আসামিরা সেখানে ছিলেন। ওই শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরের দিন তাকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তিনি মারা যান। এই ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি ৪ জনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই নিহত শিক্ষার্থীর বাবা।
মামুন/সাইফ
আরো পড়ুন