‘৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির হাজার বছরের বঞ্চনার ইতিহাস’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির হাজার বছরের শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস। তিনি ঐতিহাসিক ভাষণে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ধারণ করেছিলেন। এর ফলে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি পতাকা, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড।’
রোববার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কখনো নিজেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে উপস্থাপন করনেনি। বরং যখন পাকিস্তানিরা আমাদের নিরীহ জনগণের ওপর হামলা করে, আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করে নির্বিচারে, তখনই তিনি দৃঢ়চিত্তে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন।’
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তিতে দেশব্যাপী থানাসহ সব পুলিশ ইউনিটে আনন্দ উদযাপন করা হচ্ছে বলে জানান ড. বেনজীর আহমেদ।
আইজিপি বলেন, ‘একসময় দারিদ্র্য, অসুখ, অশিক্ষা ছিল আমাদের নিত্য সহচর। মানুষ ম্যালেরিয়া, কলেরা, টাইফয়েডে ভুগত। অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। আজ দেশ কোথায় এসেছে? এ যাত্রা সহজ ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এ উন্নয়নের পেছনে আমাদের শ্রম-ঘাম আছে, প্রতিজ্ঞা-প্রত্যয় আছে। দেশের মানুষ অহর্নিশ পরিশ্রম করেছে। এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতের সম্মিলিত প্রয়াসের ফলে আমাদের এ বিজয় অর্জিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা অনেক দূর এসেছি। আমাদের যেতে হবে বহু দূর। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে বাংলাদেশের। ২০৪১ সালে ধনী দেশে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের সোনার বাংলার গর্বিত বন্দরে উপনীত হতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ দারিদ্র্যের শিকল ভাঙার উৎসব। কোনো নির্দিষ্ট দিনে নয়, প্রতিদিন এ উৎসব করতে হবে।’
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, অতিরিক্ত আইজি (এ অ্যান্ড ও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, সিআইডির অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূঞা, চলচ্চিত্র অভিনেতা আলমগীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/মাকসুদ/রফিক
আরো পড়ুন