ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

যুবদলনেতা মজনুসহ ৮ জন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ৮ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৭:৫৮, ৮ মার্চ ২০২১
যুবদলনেতা মজনুসহ ৮ জন রিমান্ডে

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুসহ আটজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন—রফিকুল আলম মজনু, আব্দুল খালেক টিপু, সৌরভ রাসেল, দিল গনি, শহিদুল ইসলাম, মোশারফ, আবুল কাশেম এবং ওয়াহিদ।

গত ৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মো. আব্দুল্লাহ আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ওই দিন আদালত রিমান্ড শুনানির দিন সোমবার (৮ মার্চ) ধার্য করেন। রিমান্ড শুনানিকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

আসামিদের পক্ষে মোসলেহ উদ্দিন জসিমসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, ‘তারা সন্দিগ্ধ আসামি। এজাহারে তাদের নাম নেই। গত ৪ মার্চ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রফিকুল আলম মজনু ওই সংঘর্ষের সময় ফেনীতে ছিলেন। যেহেতু তারা সন্দিগ্ধ আসামি, সেহেতু তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কিছুই বলতে পারবে না। এখানে রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রয়োজনে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’

রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলাটিতে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তারা হলেন—মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ, আতাউর রহমান, মাসুদ রানা, শফিকুল ইসলাম, শাহীরাজ, আহসান হাবীব ভূঁইয়া রাজু, কবির হোসেন, মনোয়ার ইসলাম, আরিফুল হক, আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, আবু হায়াৎ মো. জুলফিকার, আতিক মোরশেদ এবং রমজান আহমেদ তপন। রোববার রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করার জন্য জড়ো হতে থাকেন। তবে অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের সমাবেশ করতে বাধা দেয়। এ সময় তারা প্রেসক্লাবের ভেতরে অবস্থান নেন এবং পুলিশকে লক্ষ‌্য করে ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ‌্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই পলাশ সাহা বাদী হয়ে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়