সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ২৮ মার্চ

রাজধানীর সিদ্বেশ্বরীতে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ নামের এক নারীকে গুলি করে হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ২৮ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৮ মার্চ) এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এদিন জেরা শেষ হয়নি। তাই, আদালত অবশিষ্ট জেরা এবং পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। গত ১১ জানুয়ারি আব্দুস সালাম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।

মামলার আসামিরা হলেন—সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০), তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৪), শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান (৫৯) ও মারুফ রেজা (৫৯)। আসামিদের মধ্যে সায়েদাতুল মাহমুদা জামিনে আছেন। অপর তিন আসামি কারাগারে।

গত বছর ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক হত‌্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনের কথা বললেও মিন্টু ওরফে মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২৩ মে বিচারিক আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করেন।

পরের বছরের ২৭ আগস্ট অন্য এক আদেশে হাইকোর্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান। এরপর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশের ওপর এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। গত বছর ৯ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।