দুই তরুণীকে ধর্ষণ: প্রথম তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মতিন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রোববার (১৪ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। পরে আদালত আগামী ৪ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এ নিয়ে মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি সাক্ষ্য দিলে আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলার আসামিরা হলেন—আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসন। পাঁচ আসামিই জামিনে আছেন। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।

২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ওই বছরের গত ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। সাদমান সাকিফ, রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।

উল্লেখ্য, ওই দুই তরুণী ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।