ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায় স্বীকার রুবেলের

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ৪ এপ্রিল ২০২১  
স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায় স্বীকার রুবেলের

র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রুবেল (ফাইল ফটো)

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে হাসি খাতুন (২৪) ও তার ছেলে নিরব (৫) হত‌্যার মামলায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে হাসির স্বামী রুবেল।

রোববার (৪ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই শাহ সিরাজ উদ্দিন রুবেলকে আদালতে হাজির করেন। রুবেল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

শনিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামার পাড়া কাঁচামালের আড়তের সামনে থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১।

জোড়া খুনের ঘটনায় রুবেলকে আসামি করে ২৪ মার্চ বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন হাসির বাবা মো. হাতেম।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাত বছর আগে হাসির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেলের। ৫ বছর বয়সী ছেলে নিরবকে নিয়ে রুবেল ও হাসি কড়াইল বস্তিতে বাস করতেন। ৫ মাস আগে তারা ঢাকা ছেড়ে কুমিল্লার বাড়িতে চলে যান। শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছেলে নিরবকে নিয়ে ১৯ মার্চ ঢাকায় চলে আসেন হাসি। ২২ মার্চ রুবেলও ঢাকায় আসেন স্ত্রী ও ছেলেকে ফিরিয়ে নিতে। এ কথা শুনে হাসি ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে চলে যান। হাসির মা ও ভাই-বোন তাকে বুঝিয়ে বাসায় নিয়ে আসেন। ২৩ মার্চ রাত ২টা পর্যন্ত হাসি ও রুবেলের মধ্যে সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলে। হাসির বোন বৈশাখীর সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নিরব। ২৪ মার্চ ভোর ৪টার দিকে রুবেল বড় শ্যালিকা বৈশাখীকে ডেকে জানান, হাসি অন্য ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। এরপর নিরবকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় রুবেল। রুবেল বৈশাখীকে জানায়, সে হাসিকে খুঁজতে যাচ্ছে। আধা ঘণ্টা পর রুবেল বাসায় এসে বৈশাখীর কাছে ২০০ টাকা চায়। নিরবকে নিয়ে কুমিল্লায় চলে যাবে বলে জানায় রুবেল। নিরব কোথায়, বেশাখী তা জানতে চাইলে রুবেল বলে, ‘ওকে চায়ের দোকানে বসিয়ে রেখে এসেছি।’ বৈশাখীর কাছে টাকা না পেয়ে শ্যালক মেহেদীর কাছে ৫০০ টাকা নিয়ে চলে যায় রুবেল।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রুবেল হাতেম এবং বৈশাখীকে ফোন দিয়ে জানতে চায়, হাসিকে খুঁজে পাওয়া গেছে কি না? হাসিকে পাওয়া যায়নি বলে জানান হাতেম। তখন রুবেল তাদের বলে, ‘বাসার পেছনে বিলের মধ্যে খোঁজ করলে হাসির লাশ পেয়ে যাবেন।’ নিরব কোথায় জানতে চাইলে রুবেল বলে, ‘তাকেও মেরে ফেলেছি। মায়ের পাশে ওর লাশ পাবেন।’ হাসির পরিবারের লোকজন ঝিলে হাসি ও তার ছেলের লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়