ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মামুনুলসহ ১৭ জনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন ২৭ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ৬ এপ্রিল ২০২১  
মামুনুলসহ ১৭ জনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন ২৭ মে

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক (ফাইল ফটো)

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ও পল্টন এলাকায় নাশকতার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২৭ মে ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন‌্য এ তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) খন্দকার আরিফ-উজ-জামান নামের এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা লোকমান, মাওলানা নাসির উদ্দিন, নায়েবে আমির মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, মাজেদুর রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা মাসুদুল করিম, মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী, মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা ফয়সাল আহমেদ, মাওলানা মুশতাকুন্নবী, মাওলানা হাফেজ মো. জোবায়ের এবং মাওলানা হাফেজ মো. তৈয়ব।

মামলার এজাহারে আরিফ-উজ-জামান অভিযোগ করেন, ২৬ মার্চ দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান তিনি। ফরজ নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে কিছু লোক নানা ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে দেখেন। সেখান থেকে বের হয়ে মসজিদের বাইরে উত্তর গেটের সিঁড়িতে কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত দেখতে পান। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষ স্থানীয় জামায়াত-শিবির-বিএনপি-হেফাজত নেতারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে বানচাল করা এবং ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করেন। সেই লক্ষ্যে সেখানে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেওয়া হয়। হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে উক্ত ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের নিমিত্তে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, ছোরা, কুড়াল, কিরিচ, হাতুড়ি, তলোয়ার, বাঁশ, গজারী লাঠি, শাবল, রিভলবার, পাইপগানসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে আমিসহ অন্যান্য সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলা করে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ হুকুমে হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি দেন। এ সময় প্রাণ রক্ষায় তিনি সরে গেলে আল হাবিব তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে বড় রড দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে অন্য হেফাজত নেতারা বাঁশের লাঠি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। আরেকজনকে ধারালো কিরিচ দিয়ে হত্যার উদ্দেশে মাথার পেছনে গুরুতর জখম করা হয়।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়