ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ জাতীয় কমিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৯ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ০৮:২৮, ১০ এপ্রিল ২০২১
দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ জাতীয় কমিটির

ফাইল ফটো

দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মনে করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এজন‌্য সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ‌্য জানানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে কমিটির ৩০তম সভা ভার্চুয়ালি হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। সভায় কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে করোনা মোকাবিলা বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়।

জাতীয় কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে উদ্বেগজনকভাবে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও করোনা নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিধি-নিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার। অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সিটি করপোরেশন ও মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় পূর্ণ লকডাউন দিতে হবে। দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা, আইসিইউ সুবিধা, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচেষ্ট। ডিএনসিসি হাসপাতাল আগামী সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সরকারি পর্যায়ের এই কার্যক্রমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালের রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় অতি দ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।

সংক্রমণের হার বাড়ায় করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। রিপোর্ট পেতেও সময় লাগছে। যারা টেস্ট করাতে আসছেন, তাদের একটা বড় অংশই বিদেশগামী যাত্রী। বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্যান্য যাত্রীদের বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠাতে পারলে সরকারি ল্যাবরেটরীতে চাপ কিছুটা কমবে। বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্য যাত্রীদের পরীক্ষা বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এতে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত দিয়ে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে, যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম যুক্তরাজ্যে ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশেও টিকা কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানির সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।

ঢাকা/সাওন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়