ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দেড় বছর আগে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছিল রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১১ এপ্রিল ২০২১  
দেড় বছর আগে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছিল রেজাউল

দেড় বছর আগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল হককে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। সে সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছিল রেজাউল।

রোববার (১১ এপ্রিল) তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পুলিশ পরিদর্শক এস এম রাইসুল ইসলাম ভাটারা থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রেজাউল হকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে উল্লিখিত তথ্য জানানো হয়।

রিমান্ড আবেদনে এসএম রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘রেজাউল হক ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন এলাকা থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়েছিল। গতকাল ১০ এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর বাড্ডা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানিয়েছে, আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আ. হাদী গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও সে জেএমবির দাওয়া ও বাইতুল মাল বিভাগের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছে। সে বর্তমানে জেএমবি’র একমাত্র শুরা সদস্য।’

আবেদনে আরও বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রেজাউল হক মূলত জামায়াতুল মুজাহিদিনের আমির সালাউদ্দিন সালেহীনের নির্দেশে বাংলাদেশে জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা থাকায় একই সালে সে গ্রেপ্তার হয়। ২০১৭ সালে সে জামিন পেয়ে পুনরায় জেএমবির কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হয়। এ মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের কাছ থেকে ১৫০টি ডেটোনেটর, একটি জিহাদি বই, কমান্ডো নাইফ এবং ২০ পিস জেল জাতীয় বিস্ফোরক পদার্থ জব্দ করা হয়েছে।’

মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, পলাতক জঙ্গিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার, তাদের নাম-ঠিকানা যাচাই, জঙ্গি সংগঠনের অন্য সদস্যদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ, জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত আরও ডেটোনেটর, জিহাদি বই, কমান্ডো নাইফ, বিস্ফোরক জাতী পদার্থ উদ্ধারের জন্য আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত রেজাউল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আদালতে রেজাউলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়