আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার 

ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে আদালতে তোলা হবে আজ। নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব‌্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, রোববার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার পর মামুনুল হককে আদালতে হাজির করবে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। আদালতে তার ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। 

কোতয়ালি থানার সিনিয়র সহকারি কমিশনার (এসি ) মো. ইকবাল রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘নিয়মিত পুলিশ সদস‌্যের বাইরে আজ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। করোনাকালীন অন‌্য মামলাগুলোও আজ চলবে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ৯টা থেকে আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাংবাদিক ও আইনজীবী ছাড়া অন‌্য কাউকে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বন্ধ রয়েছে আশপাশের সব ধরনের দোকান। 

এর আগে রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে নেওয়া হয় শ্যামলীতে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেখান থেকে নেওয়া হয় তেজগাঁও থানায়। সেখানে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে মামুনুল হককে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনাসহ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি এজাহারনামীয় আসামি। সম্প্রতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা আসেন। তার এই সফরের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামে এই সংগঠন। তারা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট ও নাশকতা  করে। এরপর  এ ঘটনার তদন্তে পাওয়া যায় মামুনুল হকের নাম। 

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও করা হয় মামুনুল হককে। একপর্যায়ে রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা। সেখানে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলা হয়। একটি মামলায় আসামি করা হয় মামুনুল হককে।