মেয়াদোত্তীর্ণ করোনা কিটসহ গ্রেপ্তার ৯ জন কারাগারে

অনুমোদনবিহীন মেডিক‌্যাল ডিভাইস আমদানিকরণ, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্টিং কিট ও রি-এজেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন করে মেয়াদ বসিয়ে বাজারজাত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. শামীম মোল্লা, ম্যানেজার মো. শহীদুল আলম, মো. মাহমুদুল হাসান, এক্সন টেকনলজিস অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি এস এম মোস্তফা কামাল, হাইটেক হেলথকেয়ার লিমিটেডের এমডি আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির, বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের ইঞ্জিনিয়ার মো. জিয়াউর রহমান, অফিস সহকারী মো. সুমন, হিসাবরক্ষক জাহিদুল আমিন পুলক, অফিস ক্লার্ক ও মার্কেটিং অফিসার মো. সোহেল রানা

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই দেবাশীষ মৌদক তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামিদের পক্ষে কাজী রেজাউল হক, মীনা বেগম আসামিদের জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৭ এপ্রিল আসামিদের তিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে ১৫ এপ্রিল বিকেলে র‌্যাব-২ এর একটি দল মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়ায় বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল, বনানী এলাকায় এক্সন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেড এবং হাইটেক হেলথকেয়ার লিমিটেডের ওয়্যারহাউজে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অভিযান চালায়। এ সময় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিশেষ ধরনের প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে ছাপিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া বিভিন্ন টেস্ট কিট ও রি-এজেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর কাজ চলছে। ওয়্যারহাউজে মজুদ করা বেশিরভাগ মেডিক্যাল ডিভাইস অনুমোদনহীন এবং প্রায় সব ধরনের টেস্ট কিট ও রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ।