রিকশাচালককে মারধরকারীর জামিন

রাজধানীর বংশালে রিকশাওয়ালাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সেই সুলতান আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  তবে এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছে না।

বুধবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাল ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

বংশাল থানার নন জিআর শাখার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ফুয়াদ উদ্দিন জানান, ‘সুলতান আহমেদের পক্ষে তার আইনজীবী মেহেদী হাসান বাদল জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করি। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।’

তিনি বলেন, ‘সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ওই রিকশাচালক বাদী হয়ে বংশাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারবেন না।’

বংশাল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, ‘রিকশাচালক আব্দুল হামিদ আজই সুলতান আহমেদকে আসামি করে বংশাল থানায় মারধর, চুরি ও ভয়ভীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সুলতান আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই আলী রেজা মামুন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল বৃহস্পতিবার (২০ মে) গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।’

এদিকে, একই আদালত আগামী ২৯ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন।

জানা যায়, গত ৪ মে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও লিংক পাঠান একজন সংবাদকর্মী।

ভিডিওতে দেখা যায়, ৪ মে দুপুর দেড়টার দিকে বংশালে এক রিকশাওয়ালাকে থাপ্পড় মারছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন সুলতান আহমেদ। নির্যাতনের একপর্যায়ে রিকশাওয়ালা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারান। পথচারীরা ওই রিকশাওয়ালাকে উদ্ধার করে।  পরে সুলতানকে গ্রেপ্তার করে বংশাল থানা পুলিশ। ৫ মে সুলতান আহমেদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।  এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।  কয়েক দফায় তার জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।