ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হেফাজতের আর্থিক লেনদেন পর্যবেক্ষণ করছেন গোয়েন্দারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ৩০ মে ২০২১  
হেফাজতের আর্থিক লেনদেন পর্যবেক্ষণ করছেন গোয়েন্দারা

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের আর্থিক লেনদেন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন গোয়েন্দারা। সংগঠনটির সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের অ‌্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেন হতো। অর্থ সম্পাদক কাসেমীর অ‌্যাকাউন্টেও বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়। 

রোববার (৩০ মে) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংস্থাটির যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

মাহবুবুল আলম জানান, সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও তাণ্ডবের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এতে বিভিন্ন মামলার তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘হেফাজতের অর্থায়ন হয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে। প্রবাসীরা মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন‌্য হেফাজতের মাধ‌্যমে দান করে থাকেন। রোহিঙ্গাদের জন্যও তারা দান করেন। অন্যান্য উপলক্ষেও হেফাজতের নামে বিদেশ থেকে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে। টাকাগুলোর যৎসামান্য এতিম অসহায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করা হয়। বেশিরভাগই হেফাজত নেতাদের অ‌্যাকাউন্টে চলে যেত। এ টাকা হেফাজত নেতারা নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো লেনদেন করতেন। পাশাপাশি, তারা টাকাগুলো রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্যও ব্যবহার করেছেন। বিশেষ করে, হেফাজতের যেসব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড রয়েছে, সেগুলোতে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করার তথ্য মিলেছে। গ্রেপ্তারকৃত হেফাজত নেতারা এ টাকা দিয়ে বাড়ি-গাড়িও করেছেন।‘

তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তে দেখা গেছে, কওমি মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। কিন্তু এসব সংস্থাও হেফাজতের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব সংস্থা ঠিকমতো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের তাণ্ডবের ১৪টি মামলা এ পর্যন্ত তদন্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন কিছু মামলাও আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে দ্রুতই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। সে ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হতে পারে।’

ঢাকা/মাকসুদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়