অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে ৬ মাসের কারাদণ্ড
মশা নিধনে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিয়ান চলাকালে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডোম-ইনোকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং অভিনেতা অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোড, উদয়াচল পার্ক ও খেলার মাঠে দশ দিনব্যাপী মশা নিধন অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ হোসেন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এডিস মশার প্রজননস্থল ও লার্ভা পাওয়ায় ইকবাল রোডে ডোম-ইনোকে নগদ ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই এলাকায় অভিনেতা অনন্ত জলিলের নির্মাণাধীন ভবনের সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডেই একযোগে শুরু করা হয়েছে মশকনিধন অভিযান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরবাসীকে সচেতন এবং এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার লক্ষ্যে ১ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত (শুক্রবার ব্যতীত) ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযানের উদ্বোধন করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এ সময় মেয়র বলেন, ‘করোনাকালে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কারও মৃত্যু না হয়, সেজন্যই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, ‘নগরসহ দেশ রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং কয়েকটি ভবন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে যেসব ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, সেগুলোতে স্টিকার লাগিয়ে দেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘কোনো বাসায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।’
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ দিতে ওয়াসা থেকে হস্তান্তরিত খাল ও স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইন পরিষ্কার করা হচ্ছে। করোনা মহামারিকালে স্বাভাবিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি খাল ও জলাশয় পরিষ্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ ও নাট্য ব্যক্তিত্ব তানভীন সুইটি উপস্থিত ছিলেন।
মেসবাহ/রফিক
আরো পড়ুন