ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিডিডিএল হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১৩ জুন ২০২১   আপডেট: ১৮:৪৪, ১৩ জুন ২০২১
বিডিডিএল হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিডিডিএল নতুনধারা হাউজিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২০০ গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিলেও প্লট বুঝিয়ে দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, ১১ গ্রাহকের ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আজিজুল কবীর নামের এক ব্যবসায়ী তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় বিডিডিএল নতুনধারা হাউজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাবিবুল হক সরকার ওরফে ফুলু সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৩ জুন) ফুলু সরকারকে আদালতে হাজির করে তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব‌্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক (এসআই) এম এম বদরুল হায়দার। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড চাওয়ার কারণ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে বলেন, ১১ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কোম্পানির অ‌্যাকাউন্টে জমা না করে কোথায় কোন অ‌্যাকাউন্টে জমা রেখেছে, এসব টাকাসহ এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা আনুমানিক ১৯৫ জন গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া শতাধিক কোটি টাকা কোথায় পাঠিয়েছে, তা জানান জন্য ফুলু সরকারকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে কী পরমিাণ সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে, তা জানার জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার।

আসামির পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। বাদীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

ভুক্তভোগী গ্রাহক সায়েদ আহম্মেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিডিডিএল নতুনধারা হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে চারটি প্লট নিয়েছিলাম। ৯-১০ বছর আগে আমরা টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু আমরা জমি পাচ্ছি না। দেবে দেবে বলেও জমি দিচ্ছে না। আমার মতো ২০০ গ্রাহকের কাছ থেকে ২০০ কোটির বেশি টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। ২০০ পরিবার রাস্তায় বসে গেছে। প্রতারকদের কাছ থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। সবাই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্লট অথবা টাকা ফেরত চাই। ওদের সাজা চাই আমরা।’

নজরুল ইসলাম নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘২০০৬ সালে প্লটের বুকিং দেই। ২০১১-১২ সালের মধ্যে সব টাকা পরিশোধ করি। টাকা পরিশোধের পরে তাগাদা দেওয়ার পর তারা দিচ্ছি দিচ্ছি বলে ঘোরাচ্ছে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আয় করা টাকা দিয়ে আমরা প্লট কিনেছি। একটাই দাবি, আমরা প্লট চাই। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ