রক কিং গ্যাংয়ের ৫ সদস্য রিমান্ডে

মাদকের মামলায় রাজধানীর শনির আখড়া থেকে গ্রেপ্তার রক কিং গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের ভার্চুয়াল আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলো—নাজমুল হাসান ওরফে সৈকত, আজাহারুল ইসলাম ওরফে দোলন, অন্তর হোসেন মোল্লা, ইমন আহম্মেদ শুভ এবং সুমন মিয়া। তাদের মধ্যে শুভ ও সুমন সহোদর।

বুধবার (১৬ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির হোসেন আসামিদের মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দিন ধার্য করেন।

আজ আদালত প্রথমে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

এর আগে বুধবার একই থানায় দায়ের করা ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় আদালত তাদের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মাসখানেক আগে রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে আরোহীদের হেনস্তা করেছিল রক কিং গ‌্যাংয়ের ওই সদস‌্যরা। তারা যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়ায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে মাস্তানিসহ নানা অপরাধ করত। গত সোমবার মধ্যরাতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

র‌্যাব জানায়, গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মেয়র হানিফ উড়াল সড়কের ওপর জয়কালী মন্দিরের কাছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একটি প্রাইভেটকারের গতি রোধ করে। তারা গাড়ির চালককে হেনস্তা করে। গাড়িতে আঘাত করা হয়। ওই সময়ে গাড়িতে স্ত্রী-সন্তানসহ এক ব্যক্তি অবস্থান করছিলেন। কিশোর গ্রুপটি তাদের মোটরসাইকেল দিয়ে সেই গাড়ি ঘিরে রাখে এবং টানা হর্ন বাজাতে থাকে। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। র‌্যাব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পর তাদের আটক করে। তারা মাদক কেনাবেচা ও সেবন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সাধারণ মানুষকে হয়রানি এবং বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতো।