ঢাকা ব্যাংকের টাকা উধাও, জানা গেলো যেভাবে
ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বেশি উধাও হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় বিষয়টি ধরা পড়েছে।
এদিকে, ভল্ট থেকে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার দুই ব্যাংক কর্মকর্তা সিনিয়র অফিসার ক্যাশ ইনচার্জ রিফাত এবং ম্যানেজার অপারেশন এমরান আহমেদ। ব্যাংকের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে তারা টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। শুক্রবার (১৮ জুন) বংশাল থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার সরকার এ কথা জানান।
উধাও এর খবর যেভাবে সামনে এলো
ঢাকা ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিনের লেনদেন শেষে ভল্টের টাকার হিসাব করে থাকেন সংশ্লিষ্ট শাখার সিনিয়ার ক্যাশ ইনচার্জ। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) হিসাব করতে গিয়ে ওই কর্মকর্তা প্রায় চার কোটি টাকার গড়মিল পান। এরপর তিনি এ সংক্রান্ত কাগজপত্র ব্যাংকের ম্যানেজার অপারেশন্সকে জানানো হলে পুনরায় হিসাব করা হয়।
সেখানেও হিসাবে টাকার অংক কম আসায় বিষয়টি ব্যাংক ম্যানেজারকে জানানো হয়। পরে ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন বলছেন ব্যাংকটির জনসংযোগ কর্মকর্তা।
ভোল্টের চাবি ওই দুই কর্মকর্তার কাছে ছিলো বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে এতগুলো টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি কি একদিনের হিসাবে বেরিয়ে এসেছে নাকি ব্যাংক ক্লোজিং এর আগে জুন মাসে যে অডিট হয় সেই হিসেবে সামনে এসেছে এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হিসেবের গড়মিল সংক্রান্ত ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়।
ঢাকা ব্যাংক এমডি যা বললেন
এই আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমরানুল হক।
তিনি বলেন, আমরা নিয়মানুয়ী সবগুলো শাখায় অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিচালনা করছি। গতকাল বৃহস্পতিবার বংশাল শাখায় অডিট করার সময় ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বেশি অর্থের কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি। সঙ্গে সঙ্গে এরসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করবো। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা এবং কিভাবে এই আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে সেটি বের করতে প্রশাসনের পাশাপাশি তদন্ত কমিটি কাজ করবে। এরপর পুরো ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন
ঢাকা ব্যাংকের ভল্ট থেকে পৌনে ৪ কোটি টাকা উধাও
/এমআর/এনএফ/এসবি/
আরো পড়ুন