ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পুরুষাঙ্গ কর্তন: ভাবির বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ২৪ জুন ২০২১  
পুরুষাঙ্গ কর্তন: ভাবির বিরুদ্ধে চার্জশিট

পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সামিউল ইসলাম নামের এক ব‌্যক্তির পুরুষাঙ্গ কর্তনের মামলায় তার ভাবি ফাতেমা আক্তার সুমাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই অমল কৃষ্ণ দে এ চার্জশিট দাখিল করেন। আগামী ২৮ জুলাই চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ফকির সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

সামিউলের পুরুষাঙ্গ কর্তনের প্রায় দেড় মাস পর ২২ ডিসেম্বর তার মেজ ভাই শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পশ্চিমদী শ্যামপুর এলাকা থেকে সামিউলের বড় ভাবি ফাতেমা আক্তার সুমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে জামিনে আছেন সুমা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সামিউল ইসলাম স্টিলের প্লেইন শিটের দোকানে চাকরি করেন। তিনি তার বেতনের টাকা সুমার কাছে জমা রাখেন। গত বছরের ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সামিউল কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। এ সময় ফাতেমা মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানান যে, তিনি বঙ্গবাজারে কেনাকাটা করতে যাবেন। সেখান থেকে পীর ইয়ামেনী মার্কেটে যাবেন। সামিউলকে ইয়ামেনী মার্কেটে থাকতে বলেন ফাতেমা। তার কাছে রাখা টাকা সামিউলকে দেবেন বলেও জানান ফাতেমা। সামিউল সেখানে যান। তখন ফাতেমা জানান, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ৫ লাখ টাকা হস্তান্তর করা ঠিক হবে না। পীর ইয়ামেনী আবাসিক হোটেলের পঞ্চম তলার ৫১৪ নম্বর কক্ষে টাকা হস্তান্তর করা হবে, এ কথা বলে সামিউলকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। হোটেলে যাওয়ার পরপরই ফাতেমা সামিউলের মুখে চেতনানাশক স্প্রে করেন। এতে সামিউল অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অজ্ঞান থাকাকালে তার পুরুষাঙ্গের মাথা কেটে দেন ফাতেমা।

ঘণ্টা দুয়েক পর সামিউলের জ্ঞান ফিরলে নিজেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ফাতেমা নিজেই হোটেলের বাইরে অবস্থানরত অজ্ঞাত দুই-তিনজনের সহায়তায় সামিউলকে সিএনজি অটোরিকশাতে করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়