ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

হলি আর্টিজান হামলার পর দেড় হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে: র‌্যাব ডিজি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ২৯ জুন ২০২১   আপডেট: ১৬:৫৬, ২৯ জুন ২০২১
হলি আর্টিজান হামলার পর দেড় হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে: র‌্যাব ডিজি

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পর দেড় হাজার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ কারণে জঙ্গিরা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে তারা যেন আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে উত্তরা র‌্যাব সদর দপ্তরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখানেই মানসিকভাবে তৃপ্তি পাওয়ার কিছু নেই।  কেননা উগ্র মৌলবাদে বিশ্বাসী গোষ্ঠী যেকোনো সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।  তবে তারা যেন সে কাজ আর না করতে পারে সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  পাশাপাশি জঙ্গিরা অনেক দুর্বলও হয়ে গেছে।  জঙ্গি সদস্যই গ্রেপ্তার হয়নি, তাদের কাছে থাকা অনেক অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।  সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এজন্য র‌্যাবের বিশেষ সেলের কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।  যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করে যাচ্ছি।  জঙ্গিবাদের উত্থান, এর নেপথ্যে মদদদাতা, অর্থদাতা সবাইকেই আমরা আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করবো।  আর হলি আর্টিজানে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল সরোয়ার জাহান। এছাড়া ওই হামলায় অনেক অর্থদাতা ছিল। যাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

কিশোর গ্যাংয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। তারই অংশ হিসেবে অনেক কিশোর গ্রুপের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইন বা সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।  তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কষ্টসাধ্য। এজন্য প্রথমে সন্তানকে রক্ষায় তার বাবা-মাকে এগিয়ে আসতে হবে।  সমাজও এ ব্যাপারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে। 

মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি উল্লেখ করে চৌধুরী আবদুল্লাহ বলেন, র‌্যাব জঙ্গি কিংবা কিশোর গ্যাং নিয়েই কাজ করছে না, মাদকের বিস্তার রোধেও দেশব্যাপী নজরদারি অব্যাহত আছে। মাদকের বিস্তার যেন কোনোভাবেই ঘটতে না পারে সেজন্য পোশাকের সঙ্গে সাদা পোশাক পরিহিত গোয়েন্দারাও কাজ করছে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা করা হয়। হামলায় পুরো দেশ স্তম্ভিত হয়ে যায়।  ভেতরে সারা রাত দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিককে হত্যা করে জঙ্গিরা।

/মাকসুদ/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়