ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

উপযুক্ত কারণ নিয়ে বের হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ২৬ জুলাই ২০২১  
উপযুক্ত কারণ নিয়ে বের হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে 

ছবি: রাইজিংবিডি

সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিন সড়কে অন্যদিনের তুলনায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেশি ছিল। তবে বেশিরভাগ মানুষই উপযুক্ত কারণ নিয়ে বের হচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে শাপলা চত্বর সংলগ্ন মতিঝিলের চেকপোষ্টে একদল পুলিশ সদস্য বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষকে আটক করছে।  চালক কিংবা ভেতরের লোকজনকে বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ জানতে চাওয়া হলে তাদের বেশিরভাগই বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ বা প্রমাণ দেখাচ্ছিলেন। 

এ সময় প্রাইভেটকারে করে ফার্মগেট থেকে আসা আজহার উদদীন বলছিলেন, ‘আমি জরুরি সেবায় চাকরি করি।  এ কারণে আমাকে বের হতে হয়েছে।  কার্ড দেখালে ছেড়ে দেয়।’ 

চেকপোস্টের দায়িত্বরত মতিঝিল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ কুমার রাইজিংবিডিকে বলেন, ব্যাংক খোলা থাকায় এদিন যানবাহন ও মানুষের চলাচল একটু বেশি। তবে যারা বের হচ্ছেন তারা যথেষ্ট রিজন নিয়েই বের হচ্ছেন।  জিজ্ঞাসা করলে তারা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পাশাপাশি প্রমাণাদিও দেখাচ্ছেন।  মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  দুপুর ১টা পর্যন্ত এখানে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

লালবাগের ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকায় একইভাবে পুলিশের চেকপোস্ট পরিলক্ষিত হয়। সেখানেও যানবাহনকে আটক করে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে।  পাশাপাশি মানুষকেও একই জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে অনেকে আবার অজুহাতও দিচ্ছিলেন। যাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক এবং বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই, মূলত তাদের জরিমানা কিংবা আটকের আওতায় নিয়ে আসছিল পুলিশ।

লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন জানান, পুরো এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কিংবা মোড়ে একাধিক চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিনামূল্যে মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় পুলিশ জনগণকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে যেন বের না হন বারণ করা হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, গুলিস্তান, কাকরাইল, নবাবপুর, নয়াবাজার, সায়েদাবাদ, ফার্মগেট, কাকরাইল, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, বাংলামোটরসহ আশপাশের সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, জরুরি সেবার পরিবহন এবং রিকশার দখলে ছিল এসব এলাকার সড়কে।  অনেক জায়গায় দোকানপাট খুলে ব্যবসা করছিল। লোকজনের আনাগোনাও ছিল চোখে পড়ার মতো।

জানা গেছে, রাজধানীর ৮টি ক্রাইম জোনে অন্তত ১৫ থেকে ২০টি করে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোষ্টে পুলিশের সঙ্গে র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী বাহিনীর সদস্যরাও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।  

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। যা আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

/মাকসুদ/এসবি/ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়