ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সম্পর্ক গড়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর: র‌্যাব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৭, ৩১ জুলাই ২০২১  
সম্পর্ক গড়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর: র‌্যাব

আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর রিমান্ডের প্রথম দিনে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাবের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত এ ব্যবসায়ী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রথমে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তাদের ব্ল্যাকমেইলের পরিকল্পনা করেন। অনেকেই তার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এভাবে হেলেনা জাহাঙ্গীর বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।’ 

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন এবং সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  ছড়িয়েছেন মূলত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, যা তাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। জনগণের মধ্যেও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বামী ১৯৯০ সাল থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে অন্যদের সঙ্গে পার্টনারশিপের ভিত্তিতে ব্যবসা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। গত দুই বছরে বিভিন্ন মাধ্যম এবং টেলিভিশনে চাকরি দেওয়া, এজেন্সি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা আদায় করেছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। যদিও এসব কর্মকাণ্ড তিনি অফিসের স্টাফ দিয়ে করাতেন। পাশাপাশি জয়যাত্রা টেলিভিশনে যেসব প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তারাও চাঁদাবাজি সঙ্গে জড়িত বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।'

হেলেনা জাহাঙ্গীরের বরাত দিয়ে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তার ১৬টি ফ্ল‌্যাট আছে। কয়েকটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে তিনি জড়িত। বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি কিংবা ব্ল্যাকমেলিং করে আদায় করা টাকাগুলো তিনি ফাউন্ডেশনের কাজে লাগাতেন। সেরকম একটি ফাউন্ডেশনের ব্যানারে তিনি সুনামগঞ্জে ত্রাণ বিতরণ করতে গেলে স্থানীয়রা তাকে পল্লীমাতা উপাধি দেন। ফাউন্ডেশনের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকেও অনেক টাকা এনেছেন হেলেনা। এগুলো কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে হেলেনা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এছাড়া আমাদের আরও অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে আমরা হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করব।’

ঢাকা/মাকসুদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়