ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দুজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ২৪ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৭:১৫, ২৪ আগস্ট ২০২১
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দুজন রিমান্ডে

রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রুমীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সুজানুর রহমান এ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট নিহার হোসেন ফারুকসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘ঘটনাটি গত ১৭ আগস্টের। যেকোনো দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলে, নেতার আদর্শে আদর্শিত হলে মাজারে ফুল দিতে যায়। তারা সেখানে পুলিশের অনুমতি নিয়েই গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ গায়ের জোরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। একসঙ্গে এত লোক দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে সেদিন হামলা চালানো হয়। রুমী এজাহার নামীয় আসামি হলেও জুয়েলের নাম এজাহারে নেই। তাদের ঘটনাস্থল থেকে ধরা হয়নি। তাছাড়া, আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও নেই। তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন প্রার্থনা করছি।’

শুনানি শেষে আদালত দুই আসামির দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

পুলিশ জানায়, চন্দ্রিমা উদ্যানের আশপাশে ভাঙচুরের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুরের সময়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। সেই ছবির সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে গত ২৩ আগস্ট রাতে জুয়েল ও রুমীকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে জিয়ার মাজারে যাওয়া নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ‌্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়লে পুলিশও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে, বিএনপির অভিযোগ, শুধু টিয়ারশেল নয়, গুলিও চালিয়েছে পুলিশ। পরে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মেট্রোরেল প্রকল্পের গাড়িসহ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করেন। ওই ঘটনায় মেট্রোরেল প্রকল্পের অ্যাডমিন অ্যান্ড সিকিউরিটি অফিসার আব্দুস সালাম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশও এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়