ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাতের ছিনতাইকারী তারা 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ১৮ অক্টোবর ২০২১  
রাতের ছিনতাইকারী তারা 

গ্রেফতারকৃতরা। ছবি: নিজস্ব

আশুলিয়া ও আশপাশের এলাকায় পথচারীদের টার্গেট করে ছিনতাই করে একটি চক্র। মূলত গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চক্রটি ছিনতাই করে। একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে এ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কর্মকর্তারা।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১ অক্টোবর আশুলিয়া থানার জামগড়া পলমল গার্মেন্টসের সামনে রমজান মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে রাতে কতিপয় দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিকটস্থ নারী ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে সিআইডি’র নজরে আসে। এরপর ছায়া তদন্ত শুরু হয়। তারই অংশ হিসেবে ১৭ অক্টোবর রাতে মো. আমিনুলকে নরসিংদীর জামগড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাগর মোল্লা ও মো. ইউনুছকে মুগদা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে রমজান থেকে ছিনতাই করা মোবাইল এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে, তারা মূলত সক্রিয় ছিনতাইকারী দলের হোতা ও সহযোগী। আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীদের টার্গেট করে ছিনতাই করে থাকে। কেউ তাদের বাধা দিলে সঙ্গে থাকা ধারালো ছুরি, লোহার রড দিয়ে আঘাত করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনার তারিখ ও সময়ে রমজান মিয়া শিমুলতলার দ‌্য ভাই ভাই ফার্নিচার থেকে কাজ শেষে মোল্লা বাজার ভাড়া বাসায় ফেরার সময় পলমল গার্মেন্টসের সামনে পৌঁছালে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

নিহত রমজান মোবাইল ও টাকা না দিয়ে তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রমজানের বুকে, পেটে এবং সরু রড দিয়ে গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, রমজান পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। আর্থিক অনটনের সংসারে জীবিকার সন্ধানে প্রায় ৬ বছর আগে শিশু অবস্থায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হয় সে। খালার পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে আশুলিয়ার শিমুলতলাস্থ রানা মিয়ার ফার্নিচারের দোকানে ৬ হাজার টাকা বেতনে প্রায় ৩ বছর কাজ করে। পরবর্তীতে একই এলাকার দ‌্য ভাই ভাই ফার্নিচার দোকানে ১১ হাজার টাকা বেতনে প্রায় ৩ বছর ধরে কাজ করে আসছিল।
 

মাকসুদ/এনএইচ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়