ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাবরিনার বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ১৮ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৮:৫৩, ১৮ অক্টোবর ২০২১
সাবরিনার বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্য

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন-মো. জাকারিয়া এবং তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতের তারা সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১০ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বিষয়টি জানান।

জাকারিয়া আদালতকে বলেন, ২০২০ সালের ১ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারে প্রথমে তিনি একা করোনা পরীক্ষা করান। ৬ জুন তার করোনা পজিটিভ আসে বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। এরপর তার স্ত্রী-ছেলে মেয়েসহ ৫ জন করোনা পরীক্ষা করান।  তবে সেই রিপোর্টে শুধুমাত্র তার স্ত্রীর করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তারা সবাই সরকারি হাসপাতাল নারায়ণগঞ্জে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করে আসেন।  সেখানে তাদের সবার করোনা নেগেটিভ আসে। দুইবার করোনা পরীক্ষার জন্য আসামিরা তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। প্রতারণা করে তারা টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে আদালতকে জানান জাকারিয়া।

এ নিয়ে মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত বছর ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।  গত বছর ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। তারা সবাই কারাগারে আছেন।

মামুন/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়