ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ১৯ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৬:৪৩, ১৯ অক্টোবর ২০২১
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার কারাগারে

আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী (সাদা শার্ট পরিহিত)

রাজধানীর পল্টন থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলামের আদালতে আব্দুস সাত্তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বিপ্লব সরকার ছাত্রদল নেতা আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।

জামিন শুনানিতে আব্দুস সাত্তারের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী নির্দোষ, নিরপরাধ। ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন বরং যে ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে সেই ধারার কোনো অপরাধ তিনি করেননি। আব্দুস সাত্তার বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। মামলা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন না। মামলার বিষয়ে জানার পর তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন। তিনি অসুস্থ, ভারতের চেন্নাইয়ের বেসরকারি একটি হাসপাতালের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সদ্য করোনামুক্ত হয়েছেন। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল কাজী মহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী তৎকালীন ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, পল্টন মডেল থানাধীন স্কাউট মার্কেটে তার পুরাতন গাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় ২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নিজের মাইক্রোবাসে করে তিনি তার প্রতিষ্ঠানে আসেন। মাইক্রোবাসটি মার্কেটের সামনে রাখা ছিল। পল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসামিরাসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি মিছিল বের করে রাস্তায় চলাচলরত যানবাহন ও জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গাড়ি ভাংচুর শুরু করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিক চলে যায়। মিছিলের একটি অংশে থাকা আসামিরা পরে কাজী মহিদুল ইসলামের গাড়িসহ ২/৩ টি গাড়ি ভাংচুর করে। সেখান থেকে অহি আহম্মেদ, আল-আমিন, শহিদুল ইসলাম নয়নকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলাটি তদন্ত করে ১০ দিন পর ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পল্টন মডেল থানার এসআই (নি.) শামীম আকতার।

অপর আসামিরা হলেন- ছাত্রদলের তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সহ-সভাপতি সাদিউল কবির নিরব ও এজমল হোসেন পাইলট, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও ইকবাল।

মামুন/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়