জালিয়াতি: আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন ২ আইনজীবী
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
দুই হাজার ২০০ পিস ইয়াবাকে ২০টি দেখিয়ে হাইকোর্টে জামিন জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন দুই আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে গোপালগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পিন্টু ও হাবিবুর রহমান শেখ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, দুই হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ৩০ হাজার টাকাসহ গোপালগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন শফিউল্লাহ খান নামে এক আসামি। ওই দিনই সদর থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে সেপ্টেম্বর মাসে জামিন চাইলে গোপালগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট ও জজ আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
এরপর ওই ইয়াবাকে মাত্র ২০টি দেখিয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। তৈরি করা হয় মামলার জাল নথি। ইয়াবার সংখ্যা কম হওয়ায় ওই বছরের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। কারাগার থেকে মুক্তি পান শফিউল্লাহ খান। পরে গোপালগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলার মূল নথির সঙ্গে হাইকোর্টের জামিন আদেশ মিলিয়ে জালিয়াতির ঘটনা দেখতে পান। চিঠিও দেওয়া হয় হাইকোর্টকে। জালিয়াতির বিষয়টি নজরে এলে জামিন বাতিল করে মামলা করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ওই নির্দেশনা মোতাবেক হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন পাটোয়ারী শাহবাগ থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ নভেম্বর মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত ৩১ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাঁচ আইনজীবীসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- আইনজীবী মোস্তফা কামাল (সুপ্রিম কোর্ট), এম এ আলম সেলিম ওরফে মো. এন্তেখাফ আলম সেলিম, শফিউল্লাহ খান, মো. আলী ফকির, দাউদ মোল্লা, ওবায়দুর রহমান মোল্লা, মোকলেস মোল্লা, সিফাত মোল্লা, হীরা বেগম, হাছিনা বেগম ও মনির হোসেন।
আসামিদের মধ্যে দাউদ মোল্লা, ওবায়দুর রহমান মোল্লা ও কামরুল ইসলাম কারাগারে আছেন। আইনজীবী মোস্তফা কামাল (সুপ্রিম কোর্ট), এম এ আলম সেলিম ওরফে মো. এন্তেখাফ আলম সেলিম, সাইফুল ইসলাম পিন্টু ও হাবিবুর রহমান শেখ জামিনে আছেন। অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা
আরো পড়ুন