ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

একরামুন্নেসার শিক্ষার্থীর মৃত্যু: সুপার ভাইজার-হেলপার রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ২২:৫৮, ১ ডিসেম্বর ২০২১
একরামুন্নেসার শিক্ষার্থীর মৃত্যু: সুপার ভাইজার-হেলপার রিমান্ডে

ফাইল ছবি

রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহতের মামলায় অনাবিল পরিবহনের সুপার ভাইজার ও হেলপারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- সুপার ভাইজার গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়া। রামপুরার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর সেলিম রেজা এ তথ্য জানান।

এরআগে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আল আমিন মীর সড়ক পরিবহন আইনে করা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ঘাতক বাস অনাবিল সুপার ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৮৫৬ গাড়ির সুপারভাইজার ও হেলপার। ওই গাড়ির চালক আসামি মো. সোহেল অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে মাইনুদ্দিন পূর্ব রামপুরাস্থ মেইন রাস্তা পারাপারের সময় বাড্ডার দিক থেকে মালিবাগের দিকে যাওয়া এই বাসটি দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। এতে মাইনুদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশব্যাপী বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ আরও কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

এদিকে এ ঘটনায় বাসে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় শহীদ বেপারী নামে এক আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম এ আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। 

উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল সুপার পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।

মাইনুদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার মা রাশিদা বেগম সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা করেন। একই ঘটনায় রামপুরা এলাকায় ৮টি বাসে আগুন ও ৪টিতে ভাঙচুর করায় পৃথক একটি মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিককে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়