ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঠিকাদার স্বপন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩২, ৭ ডিসেম্বর ২০২১  
ঠিকাদার স্বপন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল করিম চৌধুরী ওরফে স্বপন চৌধুরীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে সাবেক অধ্যাপক কাজী মো. আবু কাইয়ুম (কাইয়ুম শিশির)। অপর আসামি হলেন স্বপন চৌধুরীর অফিসের কর্মকর্তা কায়েছুল ইসলাম।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী কাজী মো. আবু কাইয়ুম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্যবসায়িক কারণে স্বপন চৌধুরী এবংআবু কাইয়ুমের মধ্যে আর্থিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ ছিল। স্বপন চৌধুরীর কাছে টাকা পান আবু কাইয়ুম। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আবু কাইয়ুম পৃথক দুটি মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবু কাইয়ুমের বিরুদ্ধে বনানী থানায় একটি মামলা করেন স্বপন চৌধুরীর অফিসের কর্মকর্তা কায়েছুল ইসলাম। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরবর্তী সময়ে আসামিরা আবু কাইয়ুমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তৈরি করেন। স্বপন চৌধুরী এ পরোয়ানা আবু কাইয়ুমের পরিচিত এক ব্যক্তির কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান। ওই ব্যক্তি আবার সেটি আবু কাইয়ুমের মোবাইলে পাঠান।

আবু কাইয়ুম অভিযোগ করেন, আসামিরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে জাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও নকল সিলমোহর তৈরি এবং সরকারি কর্মকর্তার স্বাক্ষর সংযোজন করে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তার কাছে সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠান।  এ পরোয়ানামূলে পুলিশ তার এলাকায় যায়। পরে তিনি ঢাকার আদালতে খবর নিয়ে জানতে পারেন, তার নামে কোনো মামলা নেই। আসামিদের এমন কর্মকাণ্ড ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩/২৫/২৯/৩৩ এবং ৩৫ ধারা অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

এ বিষয়ে আবু কাইয়ুম লালবাগ থানায় মামলা করতে যান। তবে পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এজন্য তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আবু কাইয়ুম।

মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়