ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অরিত্রীর আত্মহত্যা: আদালতে যা বললেন দুই শিক্ষিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ২২:৫৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২২
অরিত্রীর আত্মহত্যা: আদালতে যা বললেন দুই শিক্ষিকা

অরিত্রী অধিকারী (ফাইল ফটো)

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষিকা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা লুৎফুন নাহার করিম এবং প্রভাতী শাখার খণ্ডকালীন শিক্ষিকা আফসানা আমাতু রাব্বী। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৩০ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

লুৎফুন নাহার করিম আদালতে জানান, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি এবং আফসানা আমাতু রাব্বী ১২৮ নম্বর শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলেন। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনোরকম ডিভাইস বা মোবাইল ফোন আনা নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অরিত্রী মোবাইল ফোন নিয়ে আসে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনুমানিক ১০ মিনিট আগে নকল করা অবস্থায় তারা অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন জব্দ করেন। মোবাইলে বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করা ছিল। বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল পাওয়ায় তারা পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষিকা জাহানারা শিরিনের কাছে উত্তরপত্র ও ডিভাইস জমা দিয়ে তারা আবার পরীক্ষার হলের ডিউটিতে ফিরে যান। যথারীতি পরীক্ষা শেষ করে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করে। পরীক্ষা শেষে অরিত্রী মোবাইল চায়নি। ওর সাথে কোনো রকম অশোভন আচরণ করা হয়নি। অরিত্রী শান্ত ছিল।

আফসানা আমাতু রাব্বী জানান, তিনি এবং লুৎফুন নাহার করিম পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে মোবাইল ফোন দেখে উত্তর লেখার সময় তারা অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন জব্দ করেন। মোবাইল ফোনে বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করা ছিল। তারা পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষিকা জাহানারা শিরিনের কাছে অরিত্রীর মোবাইল ফোন ও উত্তরপত্র জমা দেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে অরিত্রী হল থেকে চলে যায়। অরিত্রী বাসায় যাওয়ার সময় তাদের কাছে মোবাইল ফোন চায়নি। অরিত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়নি।

এ নিয়ে মামলাটিতে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এদিন মামলার দুই আসামি নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার আদালতে হাজিরা দেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ উল্লিখিত দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।

মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়