এটিএম কার্ড জালিয়াতি: তুরস্কের নাগরিকের দোষ স্বীকার
রাজধানীতে একটি বেসরকারি ব্যাংকের বিভিন্ন বুথ থেকে তিন দিনে ৮৪ বার টাকা তোলার চেষ্টার পর গ্রেপ্তার তুরস্কের নাগরিক হাকান জানবুরকান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে এটিএম কার্ড জালিয়াতির আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য। একই ঘটনায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশের নাগরিক মো. মফিউল ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মামুন অর রশিদ। হাকান জানবুরকান আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়া তা রেকর্ড এবং মফিউল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকী হাকান জানবুরকানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই আদালত মফিউল ইসলামকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৯ জানুয়ারি পল্টন থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এ দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।
গত ১৮ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গুলশান-১ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোন কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় সিটিটিসির উপ-পরিদর্শক পিটার বিশ্বাস পল্টন থানার মামলাটি দায়ের করেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, কানাডা, সৌদি আরব ও স্পেনে গিয়ে সেসব দেশের নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে বুথ থেকে টাকা তুলে নেন হাকান জানবুরকান। এভাবে প্রায় ৪০টি দেশের বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশে আসেন তিনি। বাংলাদেশে এসেও একই কাজ শুরু করেন তিনি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন হাকান জানবুরকান। গত ২ থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথে গিয়ে কার্ড ক্লোনিং স্কেমিংয়ের মাধ্যমে শতাধিকবার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। ইস্টার্ন ব্যাংক অ্যান্টি ফেমিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় অ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারে। ফলে, তারা হ্যাকারদের হাত থেকে স্কেমিং রোধ করতে সক্ষম হয়।
মামুন/রফিক
আরো পড়ুন