সারাদিন যেভাবে কেটেছে হাজি সেলিমের
অসুস্থ হয়ে আদালতের একটি বেঞ্চে শুয়ে পড়েন হাজি সেলিম
দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২২ মে) বিকেল ৩টার কিছু পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হাজি সেলিম। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
আদালতে আসার আগে যেভাবে কাটে হাজি সেলিমের সময়:
রোববার ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করেন হাজি সেলিম। নামাজ শেষে আবার ঘুমান তিনি। সকাল ১০টার দিকে ঘুম থেকে ওঠেন। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করেন। দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে চলে যান ধানমন্ডিতে নিজ প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের অফিসে। সেখানে তিনি জোহরের নামাজ আদায় করেন। দুপুর দেড়টার দিকে বাসায় এসে গোসল করেন। পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান। এ সময় বাসার সামনে তার সমর্থকরা জড়ো হন। সোয়া ২টার দিকে আদালতের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন হাজি সেলিম। বিকেল ৩টার কিছু পর আদালতে পৌঁছান তিনি। এ সময় তার বড় ছেলে সোলায়মান সেলিম, মেজ ছেলে এরফান সেলিম ও ছোট ছেলে সালমান সেলিম সঙ্গে ছিলেন।
আদালতে যেভাবে কেটেছে সময়:
হাজি সেলিমের সমর্থকরা আগে থেকেই আদালতে হাজির ছিলেন। ভিড় ঠেলে তিনি এজলাসে প্রবেশ করেন। এজলাসে ঢুকেই তিনি সামনের বেঞ্চে বসে পড়েন। তিন ছেলেও তার পাশে গিয়ে দাঁড়ান। এ সময় তার কিছু সমর্থকও এজলাসে ঢুকে পড়েন। আইনজীবী, সাংবাদিক, পুলিশ ও তার সমর্থকদের উপস্থিতিতে আদালত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এতে বিচারিক কাজ শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হয়। ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে ওঠেন। কিছু আইনজীবীকে আদালতে থাকতে বলে অন্যদের বের হতে বলেন বিচারক। হাজি সেলিম বেঞ্চ থেকে উঠে তার সমর্থকদের বের হয়ে যেতে বলেন। শুনানি শুরু হলে তিনি আসামির কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়ান। শুনানিকালে পুরোটা সময় তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আসামিপক্ষ এবং দুদকের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১০ মিনিটের মধ্যে আদেশ পাবেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জানান বিচারক। হাজি সেলিমকে আদালতে থাকতে বলেন বিচারক। আবার বেঞ্চে এসে বসেন হাজি সেলিম। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে উঠে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে যান হাজি সেলিম। কিছুক্ষণ কথা বলে অসুস্থ হয়ে পড়েন হাজি সেলিম। আদালতের একটি বেঞ্চে শুয়ে পড়েন তিনি। বিকেল ৫টার কিছু সময় পর তাকে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। হাজি সেলিমকে কারাগারে নেওয়ার সময় তার সমর্থকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
হাজি সেলিমের পিএস বেলাল মিয়ার সঙ্গে কথা বলে তার সারা দিনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
মামুন/রফিক
আরো পড়ুন