খালেদা জিয়ার দুই মামলায় চার্জ শুনানি পেছালো

মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গরবার (১৪ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলা দুটির চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে সময় আবেদন চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মেট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্মতারিখ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জন্মতারিখ ১৯ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল। বিয়ের কাবিননামায় জন্মতারিখ ৪ আগস্ট, ১৯৪৪ সাল। ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ৫ আগস্ট, ১৯৪৬ সাল।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মতারিখ পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওই দিন জন্মদিন পালন করেন।

স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।