ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জেএমবির সদস্য আফজাল গ্রেপ্তার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ১১ আগস্ট ২০২২  
জেএমবির সদস্য আফজাল গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি আফজাল হোসেন ওরফে লিমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। আফজাল জেএমবির রংপুর বিভাগের সামরিক শাখার প্রধান জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী এবং দাওয়াহ শাখার প্রধান সাদ ওরফ রতনের সহযোগী ছিল।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১০ আগস্ট) রাতে নরসিংদীর মাধবদীতে অভিযান চালিয়ে আফজালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার বুজরুক বোয়ালিয়া শিল্পপাড়া এলাকায় জেএমবির কিছু সদস্য সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং নাশকতামূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করে। সেখানে অভিযান চালালে আফজাল কৌশলে পালিয়ে যায়। এর পর দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সে নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। এ সময় জঙ্গিবাদী এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল।

রাজীব গান্ধী নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা হলেও তার জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পুরনো জেএমবির হাত ধরে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবির শীর্ষ নেতা আব্দুল আউয়ালের বাবুর্চি ছিল আফজাল। এ সময় সে বগুড়ায় ছিল। সাইকেলে চেপে আব্দুল আউয়ালের নানা বার্তা আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিত আফজাল। আব্দুল আউয়াল ছিল জেএমবির প্রধান নেতা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শায়খ আব্দুর রহমানের জামাতা। শায়খ আব্দুর রহমান ও আব্দুল আউয়ালসহ শীর্ষ জেএমবি নেতাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। কিছুদিন বিরতির পর নব্য জেএমবি হিসেবে পুনর্গঠিত এ জঙ্গি গোষ্ঠীটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আসে সাবেক পাচক জাহাঙ্গীর আলম। নিহত নব্য জেএমবির প্রধান তামিম চৌধুরীর সহযোগী ছিল রাজিব গান্ধী। রাজিব পুরনো জেএমবির রংপুর বিভাগের দায়িত্ব পালনকালে তার সহযোগী ছিল আফজাল।

২০১৪ সাল থেকে গাইবান্ধা জেলা জেএমবির দাওয়াহ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল আফজাল। সে সময় জেএমবির রংপুর বিভাগের সামরিক শাখার প্রধান ছিল জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী এবং দাওয়াহ শাখার প্রধান ছিল সাদ ওরফে রতন। দুজনেরই সহযোগী ভূমিকায় ছিল আফজাল। ২০১৬ সালে সে চট্টগ্রামে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিট তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

মাকসুদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়