ডাকাতি রোধে নজরদারি বাড়িয়েছে র‌্যাব

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে ডাকাতির জের ধরে সারা দেশে মহাসড়কগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধ করা জনগণের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব কর্মকর্তারা।

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, আগে যারা ডাকাতি করে গ্রেপ্তার হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে, তারা এখন কোন অবস্থায় আছে, কোন পেশায় আছে, তাদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি র‍্যাবও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। ডাকাতি রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান। ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডাকাতদের যদি পুনর্বাসন করা যায় তাহলে ডাকাতি কমে যাবে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার ও সুন্দরবনসহ সারা দেশে ৪০৫ জন ডাকাত র‍্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছ র‍্যাব। এর পর শুক্রবার (১২ আগস্ট) মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও বন্দর এলাকায় মহাসড়কে ডিমবাহী পিকআপ ভ্যানে ডাকাতিকালে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‍্যাবের জনবল সীমিত। তারপরও র‍্যাব সারা দেশে মহাসড়কগুলোতে টহল জোরদার করেছে।