খালেদা জিয়ার দুই মামলায় চার্জ শুনানি ৪ অক্টোবর

মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে ৪ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলা দুটির চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুই জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এসব প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়, মেট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিক পত্রিকায় খালেদা জিয়ার জীবনী বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তার জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট। বিয়ের কাবিননামায় তার জন্মতারিখ ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মতারিখ পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে উৎসব করে জন্মদিন পালন করছেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওই দিন জন্মদিন পালন করেন।

স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানহানি ঘটানোর অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।