ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হলো জঙ্গিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ২৩ নভেম্বর ২০২২  
ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হলো জঙ্গিদের

ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করা হয় আদালতে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। 

কারাগারে থাকা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্য জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি হাসিব আব্দুল্লাহ ও আবু তাহের জুনায়েদ পলাতক। 

তিন আসামিকে আদালতে হাজির করতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে নেওয়া হয় বিপুল প্রস্তুতি। প্রায় অর্ধশত পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়। এসময় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। একইভাবে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় নেওয়া হয় প্রস্তুতি। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ আ. হাকিম বলেন, চাঞ্চল্যকর মামলায় জঙ্গি সংগঠনের তিন জন আসামি হওয়ায় আমরা বাড়তি সতর্কতা নিয়েছি। কারাগার থেকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠানো হয়েছে৷ আদালতেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে৷ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি। 

এর আগে, সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর, সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠায় পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠায়।

এদিকে এই মামলায় ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর রায়ের জন্য ধার্য তারিখে আসামিদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনে চার্জ সংশোধনের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার মূল অভিযোগের সঙ্গে দণ্ডবিধির ১২০(বি) ধারায় ঘটনায় ষড়যন্ত্রের নতুন অভিযোগ এনে চার্জ সংশোধনের আবেদন করা হয়। এজন্য মামলাটিতে নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছে। আজ সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মশিউর রহমান। আগামী ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ির দিপীকা মোড়ে ওয়াশিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পালানোর সময় দুই হামলাকারীকে আটক করে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন ও এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় ওয়াশিকুর রহমানের ভগ্নীপতি মনির হোসেন মাসুদ বাদী হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মশিউর রহমান।

ওয়াশিকুর রহমান মতিঝিলের ফারইস্ট অ্যাভিয়েশন নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ট্রেইনি অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাবা টিপু সুলতানের সঙ্গে বেগুনবাড়ির ৪/৩-এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে সাবলেট থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাজীপুরে।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়