পুলিশের ওপর হামলা: রিভারসাইড হাসপাতালের ৬ জন রিমান্ডে
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ছয়জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন—রাসেল হাওলাদার, লাল মিয়া, হারুন অর রশিদ, সুমন, কাউছার আলী ও রাফিন সাদ বোরহান।
১ ডিসেম্বর রিভারসাইড হাসপাতালের এমডি ডা. এম এইচ উসমানীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডা. এম এইচ উসমানী অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। ২ ডিসেম্বর ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক শিহাবুল ইসলাম। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আদালত রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য ৪ ডিসেম্বর (রোববার) তারিখ ধার্য করেন।
এদিন আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আদালতে কামরাঙ্গীরচর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শওকত আকবর এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার বিষয়ে কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরে রিভারসাইড হাসপাতালের এমডি ডা. এম এইচ উসমানী ওই হাসপাতালের ৭০ থেকে ৮০ জন স্টাফসহ থানায় এসে নার্সের মারধরের ঘটনায় মামলা নেওয়ার কারণ জানতে চান। তিনি থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালি দেন। তাকে থামানোর চেষ্টা করা হলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন।
ওসি আরও বলেন, দুই দিন আগে নিজের হাসপাতালের নার্সকে পিটিয়েছেন উসমানী। বুধবার রাতে ওই হাসপাতালের এক নার্স থানায় এসে মারধরের অভিযোগে মামলা করেন। ওই ঘটনায় মামলা নেওয়ায় বৃহস্পতিবার থানায় এসে হামলা চালান উসমানী ও তার সহযোগীরা। এর আগে উসমানীর বিরুদ্ধে সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়।
মামুন/রফিক
আরো পড়ুন