ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

অফিসে কাজের আগ্রহ বাড়াবেন যেভাবে

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০২, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অফিসে কাজের আগ্রহ বাড়াবেন যেভাবে

প্রতীকী ছবি

আহমেদ শরীফ : প্রায় সময় অফিসে গেলে হয়তো কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলেন আপনি। এমনকি সকালে বিছানা থেকে উঠে অফিসে যাওয়ার কথা মনে পড়লে হয়তো মন খারাপ হয়ে যায় আপনার। অনুপ্রেরণার অভাবে কর্মজীবনে অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটা হতে পারে। কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এই পরিস্থিতি সামলানো যায়।

ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: বিশাল, জটিল প্রজেক্টের কাজ শুরু করলে সেই প্রজেক্ট সঠিকভাবে শেষ হবে কি না তা নিয়ে অনেকেরই স্নায়বিক চাপ দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে বড় প্রজেক্টের কাজগুলো ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাগ করে সে লক্ষ্য পূরণ করলে মানসিক চাপ থেকে অনেকটাই মুক্ত হবেন আপনি। এতে এক পর্যায়ে বুঝতে পারবেন যে আপনি আরো দক্ষ হয়ে উঠেছেন।

পড়লে উপকার পাবেন: প্রতিদিন অফিসে কাজের চাপ যাই থাকুক, নিয়ম করে দিনে অন্তত ২০ মিনিট কোনো বই, আর্টিকেল পড়লে উপকার পাবেন। কারো সাফল্যের অনুপ্রেরণাদায়ক কাহিনি, দক্ষতা বাড়ানোর কৌশল সহ কোনো আর্টিকেলের মতো ইতিবাচক কিছু পড়তে চেষ্টা করুন। পড়লে আপনার জ্ঞান বাড়বে, যা ভবিষ্যতে কাজে আসবে। বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফের মতো শীর্ষস্থানীয় ধনীরাও দিনের একটি সময়ে কিছু পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে অন্যদের উৎসাহ দিয়ে আসছেন।

কাজ ও জীবনের ভারসাম্য জরুরি : পুরো দিন কাজের চাপ নেয়া, বাসায় এসেও অফিসের কাজের কথা ভাবা আপনার জীবনকে বিষাক্ত করে তুলবে। তাই প্রতিদিন কাজ থেকে অবকাশ নিতে একটা নির্দিষ্ট সময় বেছে নিতে হবে আপনাকে। ওই সময় অফিসের কথাও ভাববেন না। এতে করে ভারমুক্ত থাকবেন, যা পরদিন অফিসে আপনাকে ফুরফুরে মেজাজে যেতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে বেশিক্ষণ অফিসে না থেকে বাসায় ফিরে গেলে নিজের জীবনীশক্তি ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাবেন।

ছোট অর্জনগুলোও উদযাপন করুন: নিজের ছোট সব অর্জনগুলো কী, তা জেনে নিজেকে অনুপ্রেরণা দেয়ার পথ খুঁজে পাবেন আপনি। তাই কাজের ছোট ছোট সাফল্যগুলো উদযাপন ও কঠোর পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দিন। অফিসে সিনিয়ররা আপনার কাজের প্রশংসা কবে করবে, সে জন্য বসে থাকবেন না।

ভালো সব কিছু গ্রহণ করুন: প্রত্যেকের ক্যারিয়ারেই উঠা-নামা আছে। এক্ষেত্রে ভালো ও খারাপ দুই সময়েই আশাবাদী, ধৈর্য্যশীল ও কাজ করার মানসিকতা বজায় রাখতে হবে। আপনার ক্যারিয়ারের ভালো কি কি হয়েছে, তা স্মরণ করুন সব সময়। সবকিছুতেই ইতিবাচক দিকটা দেখুন।

ছুটি নিন: অফিসে কাজের চাপ থাকবেই। তাই শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল যাতে হতে না হয়, সে কারণে কয়েক মাস পর পর ছুটি নিন। এতে করে অফিসের একঘেঁয়েমি দূর হবে, চাপমুক্ত হয়ে ফ্রেশ মুডে অফিসে কাজে ফিরতে পারবেন।

পর্যবেক্ষণ করুন: অফিসে কোন কারণে কাজের আগ্রহ কমে যাচ্ছে আপনার, তা পর্যবেক্ষণ করুন। হতে পারে একই ধরনের কাজ করতে করতে ক্লান্ত আপনি, হতে পারে আপনি কাঙ্ক্ষিত বেতন বা সুবিধা পাচ্ছেন না। এমনও হতে পারে যে, কাজের চাপ না বরং অফিস পলিটিক্সই আপনার কাজের আগ্রহ কমিয়ে দেয়ার মূল ভিলেন। অথবা হতে পারে আপনার দক্ষতা আরো একটু বাড়ানো প্রয়োজন বা কাজের পরিবেশটার সাথে পুরোপুরি মানিয়ে উঠতে পারছেন না আপনি। সমস্যা যাই হোক, তা বুঝে উঠুন আগে, এরপর তার সমাধান করতে কৌশল অবলম্বন করুন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়