ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৪, ৬ অক্টোবর ২০২২   আপডেট: ২২:২৪, ৬ অক্টোবর ২০২২
লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি

ক্ষতিকর অভ্যাস ত্যাগ করা বেশ কঠিন। এটি আরো কঠিন যখন আপনি ভাবতে থাকেন এই অভ্যাসগুলো আপনার জন্য উপকারী।

এ প্রতিবেদনে দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু অভ্যাস তুলে ধরা হলো, যা আপনার দেহের জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি।

* হাঁচি দেয়া থেকে বিরত থাকা: অনেকেই হাঁচি আসলে নাক-মুখ বন্ধ করে হাঁচি দেয়া থেকে বিরত থাকেন। এমনটা করলে শরীর থেকে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বিপর্যস্ত হয় এবং ধমনী ও নার্ভাস টিস্যু সংকুচিত হয়। যার ফলে মাথাব্যথা, ধমনীর ক্ষতি এমনকি শ্রবণশক্তি হ্রাসের মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই হাঁচি আসলে নিজেকে দমিয়ে না রাখাটাই উচিত।

* পারফিউম ব্যবহার: পারফিউমের বাজারে ভেজালের ছড়াছড়ি। ভেজাল পারফিউম মাথা ধরা, বমিবমি ভাব, তন্দ্রা্ছন্নভাবের উপদ্রব ঘটাতে পারে। ত্বকের জন্যও ভেজাল পারফিউম ক্ষতিকর। এছাড়া কড়া ঘ্রাণযুক্ত আসল পারফিউম-ও কারো কারো ক্ষেত্রে মাথা ধরা, বমিবমি ভাব, তন্দ্রা্ছন্নভাব ঘটাতে পারে। তাই বদ্ধ জায়গার পরিবর্তে খোলামেলা পরিবেশে পারফিউম ব্যবহার করা ভালো।

* প্লাস্টিক পাত্রে খাবার সংরক্ষণ: অনেক প্লাস্টিক বক্স আছে যেগুলোর দীর্ঘস্থায়ীতা ধরে রাখার জন্য কৃত্রিম ক্ষতিকর উপাদান যেমন প্যাথালেট এবং বিসফেনল দ্বারা তৈরি। যদি এমন পাত্রে খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য রাখা হয় তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই কাচ, স্টেইনলেস স্টিল বা সিরামিক পাত্রে খাবার সংরক্ষণ করা ভালো। প্লাস্টিকের বক্সে খাবার সংরক্ষণ করতে চাইলে মনোযোগ সহকারে প্লাস্টিকের বক্সের তলায় কিংবা নিচের দিকে ত্রিভুজ চিহ্নের ভেতরে থাকা নম্বর দেখে নিতে হবে।

* খাওয়ার পর পরই দাঁত মাজা: ডেন্টিস্টরা সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পরে ব্রাশ করুন। যদি সম্ভব হয় তবে ১ ঘণ্টা পর দাঁত মাজুন। যেসকল খাবার ও পানীয়তে উচ্চমাত্রায় অম্লীয় থাকে তা দাঁতের এনামেল ও ডেন্টিন এর জন্য ক্ষতিকর। তাই ব্রাশ করার সময় ব্রাশের চাপে অ্যাসিডগুলো গভীরে যায় এবং ডেন্টিনের কাছে চলে যায়। যা পরবর্তীতে দাঁতের এনামেল ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে দাঁতে শিরশির সমস্যার সৃষ্টি করে।

* নিয়মিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার: আমাদের ত্বকের ওপর হাজারো উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাস করে, যা শরীরকে রক্ষা করে। প্রায়শই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের সুযোগ পেতে পারে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো- অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানগুলো খোঁচপাঁচড়া, কাঁটাছেড়া হলে ব্যবহার করা উচিত। সপ্তাহে দুইবারের বেশি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা উচিত না।

* টাইট জিন্স পরা: আঁটসাঁট জিন্স ফ্যাশনেবল মনে হলেও, তা ত্বকে চাপ সৃষ্টি করে। যা থেকে নার্ভ সিস্টেমে সমস্যা হতে পারে। আঁটসাঁট হওয়ার কারণে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে না, ফলে চুলকানি ও রণন অনুভূত হয়।

তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়