ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অভিযোগ ‘একেবারেই ভিত্তিহীন’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০০, ১১ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অভিযোগ ‘একেবারেই ভিত্তিহীন’

দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বললেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

তিনি বলেছেন, যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা ‘একেবারেই ভিত্তিহীন’। তিনি সব সময় নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করেছেন এবং কোনো ‘অবৈধ সম্পদ’ তার নেই।

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। অভিযোগ সম্পর্কে তাকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। তবে তিনি সময় চেয়ে আবেদন করায় জিজ্ঞাসাবাদ করেনি দুদক।

‘জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে দুদকের চিঠি পাওয়ার পর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এসেছিলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। সেখানেই তিনি এ বিষয়ে প্রথমবারের মত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ‘অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমার যেহেতু কিছু মালিকানা (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে) ছিল। সেটার একটি অংশ আমি বিক্রি করেছি। সেটা থেকে কিছু টাকা আমার অ্যাকাউন্টে এসেছে। ৩ অক্টোবরে কাগজপত্র সই করা হয়েছে, ৬ অক্টোবর আমার অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে। সেই টাকার যে আয়কর দিতে হবে তা আমি দেব। ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে আয়কর হবে আমি সেটা দেব। আমাকে কেউ কোনোদিন বলতে পারবে না যে, আমি ঠিকমতো আয়কর দিই না।’

খালিদী বলেন, যেটা হয়েছে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। সেই বিনিয়োগের একটি অংশ হচ্ছে, আমরা নতুন শেয়ার ইস্যু করে তাদের কাছে দিয়েছি। (অন্য অংশ হল) আমার অল্প মালিকানায় যেটা আছে, সেটার একটা অংশ বিক্রি করেছি। তাতে আমার একেবারে সম্পদহীন অবস্থা থেকে সম্পদ তৈরি হয়েছে, এতে অবৈধ সম্পদ অর্জন কী করে হলো?’

কেন হঠাৎ করে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমিও বিস্মিত। আমি জানতে চাই, কেন (অভিযোগ তোলা) হয়েছে। আমরা সহকর্মীরা যখন বলছেন যে এই চিঠি (দুদুকের চিঠি) এসেছে। আমি তাদের বলেছি, এটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি প্রয়োজন হলে, আমার পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাই সে প্রস্তাব তাদের দিয়েছি।’

এর আগে গত ৫ নভেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে ১১ নভেম্বর দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়।  চিঠিতে বলা হয়, খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন’ এবং বিভিন্ন ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তার বক্তব্য জানা প্রয়োজন।

এরপর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বরাবর সময় চেয়ে আবেদন করেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল, সেই ব্যাপারে কমিশনে একটা অনুসন্ধান চলমান আছে। এ কাজে তথ্য সংগ্রহের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তাকে নোটিশ করেছিলেন। কিন্তু তিনি গত ৭ নভেম্বর আসতে পারবেন না বলে একটি আবেদন করেন। সেই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা পরবর্তি তারিখ নির্ধারণে কাজ করছেন।’

সম্পাদক খালিদী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তারপরও কেন দুদক এই অনুসন্ধান করছে, এমন প্রশ্নে দুদক সচিব বলেন, ‘কোনো অভিযোগ আসলে কমিশনের যাছাই-বাচাই কমিটির মাধ্যমে তা যাছাই-বাচাই করে সেটি অনুসন্ধান করে থাকে। আশা করি অনুসন্ধান করে প্রকৃত বিষয় বেরিয়ে আসবে।’


ঢাকা/এম এ রহমান/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়