ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাইজিংবিডির কিসমত খোন্দকারসহ ৬ ব্যক্তি পেলেন সম্মাননা

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৯:১১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
রাইজিংবিডির কিসমত খোন্দকারসহ ৬ ব্যক্তি পেলেন সম্মাননা

সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সামাজিক সংগঠন সৃজন মির্জাপুর এর সম্মাননা পেলেন মির্জাপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও  রাইজিংবিডির বিশেষ প্রতিবেদক কিসমত খোন্দকারসহ ৬ জন। 

এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কবি  মো. আবদুল মালেক, মির্জাপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত বিবেকানন্দ চক্রবর্তী (মরনোত্তর), কৃষি শিক্ষায় এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও কৃষি অর্থনীতি অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মির্জাপুরের প্রথম নারী প্রধান শিক্ষক রওশনা আরা এবং দেশসেরা বাইমহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকালে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চর্যাপদ গবেষক ও করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আলীম মাহমুদ।

সৃজন মির্জাপুরের সভাপতি সহিনুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য আবুল কালাম আজাদ, গুলশান কমার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক খান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সৃজনের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম  বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথি বলেন, ভালো কাজ না হলে গুণী সৃষ্টি হয় না। যারা সংবর্ধিত হয়েছেন, তারা কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।  এসব ভালো মানুষদের অনুসরণ করতে পারলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। মির্জাপুর অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী একটি জনপদ। এখানে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী মহিলা মেডিক্যাল  কলেজ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের মতো নামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তিনি বলেন, সদ্য ঘোষিত একুশে পদকপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান খানের জন্মভূমি মির্জাপুর। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার পথে প্রথম প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল। যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সমাজ সংস্কার ও মির্জাপুরের সার্বিক উন্নয়নে মির্জাপুরের সাংবাদিকদের রয়েছে ঐতিহ্যমন্ডিত ভূমিকা। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে ও নেতৃত্বে মির্জাপুরে প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তিনি হচ্ছেন কিসমত খোন্দকার। তিনি আজ সাংবাদিক হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রাখছেন।

অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সৃজন একটি মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করলো। আশা করছি, সৃজন ভবিষ্যতে মির্জাপুরের গুণীজনদের খুঁজে বের করে একইভাবে সমাজ গঠনে তাদের কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি তুলে ধরবে।  

সংবর্ধিত কিসমত খোন্দকার বলেন, সততা ও কর্তব্যপরায়নতা নিয়ে আমরা কয়েকজন মির্জাপুরে সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম। এখন প্রচুর গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার কারণে সংবাদকর্মীর সংখ্যাও বেড়েছে। তবে তাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে সুসাংবাদিকতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে।

ঢাকা/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়