ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

স্বেচ্ছায় কারাবরণের জন্য শাহবাগ থানায় সাংবাদিকরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২০, ১৮ মে ২০২১   আপডেট: ২১:০৩, ১৮ মে ২০২১
স্বেচ্ছায় কারাবরণের জন্য শাহবাগ থানায় সাংবাদিকরা

দৈনিক প্রথম আলোর জ‌্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও তাকে নিপীড়নের প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা স্বেচ্ছায় কারাবরণের আবেদন নিয়ে শাহবাগ থানায় অবস্থান নিয়েছেন।

তারা বলছেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে, সে অভিযোগ যেকোনো অনুসন্ধানী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আনা যায়। কারণ, অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা জনস্বার্থে গোপন নথি সংগ্রহের মাধ্যমে দুর্নীতির তথ‌্য উন্মোচন করে থাকেন।

কারাবরণের আবেদন নিয়ে থানায় হাজির হওয়া সাংবাদিকরা হলেন—বদরুদ্দোজা বাবু, মিলটন আনোয়ার, মহিম মিজান, পারভেজ রেজা, মুনজুরুল করিম, আব্দুল্লাহ তুহিন, খান মুহাম্মদ রুমেল, অপূর্ব আলাউদ্দীন, আবদুল্লাহ আল ইমরান, নয়ন আদিত্য, মুক্তাদির রশীদ রোমিও, এস এম নূরুজ্জামান, শাহনাজ শারমিন, কাওসার সোহেলী প্রমুখ।

মহিম মিজান তার আবেদনে লিখেছেন, ‘আমি মহিম মিজান, সিনিয়র রিপোর্টার, একাত্তর টেলিভিশন। আমি একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালন করার জন্য অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে অনেক প্রতিবেদন করেছি। প্রতিবেদনগুলো করতে গিয়ে তথ্য-প্রমাণ হিসেবে অনেক নথি জোগাড় করতে হয়েছে। জনস্বার্থে প্রকাশ করা জরুরি হওয়ায় এবং অনুসন্ধানের স্বার্থে সেই নথিগুলো কোন কোনটি আমি লুকিয়ে সংগ্রহ করেছি।

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যে কথিত অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি মনে করি সব অনুসন্ধানী সাংবাদিক একই দোষে দুষ্ট।

এই বিবেচনায়, আমিও স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চাই।’

মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় স্বেচ্ছায় কেউ কারাবরণ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠাতে পারে। যেমন হয়েছিল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা ফাতেমার ক্ষেত্রে। তিনিও স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন।

নঈমুদ্দীন/মাকসুদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়